বন্ধুত্ব vs ভালোবাসা
কেন ডেকেছিস,বনি?
বনি নিরুত্তরে বসে আছে।
আরও একবার প্রশ্নের উত্তর না পেয়ে শিলা অধৈর্য্য হয়ে ওঠে।
ওরা অনেকক্ষন ধরে লেকের পারে বসে আছে। এই ছুটির দিনে কি এমন জরুরি তলব জানতে উদগ্রীব হয়ে আছে শিলা। বনিকে অনেক বার জিঞ্জেস করেছে। কিন্তু উত্তর পায় নি।বনি আজ প্রথম থেকেই বড্ড নিশ্চুপ। অনেকদিনের বন্ধু ওরা দু'জন। কত শত ঝগড়া মান অভিমান ওদের মধ্যে ছিল। কিন্তু বনি কখনো এমন চুপচুপ বসে থাকে নি।প্রতিটা মুহূর্ত অস্থির কাটে শিলার। অবশেষে মুখ খোলে বনি।
: আজ তোকে একটা গল্প বলব, শিলা।
গল্পের কথা শুনে খুশি হয়ে ওঠে শিলা। কিন্তু বাইরে বিরক্তি দেখিয়ে বলে।
--এজন্য এখানে ডাকতে হলো? কলেজেও তো বলতে পারতি।
: না,এখানেই শোন।
--আচ্ছা বল।
: একটা ছেলে একটা মেয়েকে ভালোবাসে।
কিন্তু বলতে চাচ্ছেনা।
কারন, প্রোপোজাল রিজেক্ট করার সম্ভাবনা প্রবল।
এখন ছেলেটা কি করবে?
--যা ইচ্ছা তাই করবে। এটা কোনো গল্প হল! এই ভুং ভাং কথা বলতে ডাকছিস!
: আরে বল না।
--আচ্ছা শোন। সেক্ষেত্রে তারা যদি বন্ধু হয় তবে বন্ধুত্বেই সন্তুষ্ট থাকা উচিত।কারন প্রোপোজাল রিজেক্ট হলে বন্ধুত্ব না থাকার সম্ভাবনা প্রবলের চাইতেও প্রবল।
: কিন্তু মনের মধ্যে এত্তোবড় একটা গোপন কথা চাপা দিয়ে স্বস্তিতে থাকাটা কিভাবে সম্ভব ছেলেটার জন্যে?
--আচ্ছা স্রেফ এই প্রশ্নটার জবাব দে যে একটা ছেলে এবং মেয়ের মধ্যে কি এটাই জরুরি যে তারা বন্ধুত্ব থেকে শুরু করবে আর ভালোবাসায় পৌঁছাতে হবে?
কেন বন্ধুত্ব কি যথেষ্ট নয়!
: ধর, তারা ভালো বন্ধু, আর এদিক দিয়ে ছেলেটার মনে মেয়েটার জন্যে ভালোবাসা।
সেক্ষেত্রে মেয়েটার সাথে যতদিন ছেলেটা থাকবে, এই সময়টাতে তো সে অন্য কাউকে ভালোবাসতেও পারছে না।
বন্ধুত্বেরর সম্পর্কটাওতো পোড়া যন্ত্রনা দিচ্ছে।
--তবে সেই বন্ধুত্ব থেকে মুক্তি নেওয়াই উচিত।
: ছেলেটারতো আরো মেয়ে বন্ধু থাকতে পারে। ঐখানেতো বন্ধুত্বের বেশী চাচ্ছেনা কারো কাছ থেকে। শুধু একজনই ভিন্ন।
--কিন্তু এমনও তো হতে পারে যে সেই মেয়েরও আরও ছেলে বন্ধু আছে। সে ছেলেটাকে আর দশ জনের মতই ভাবে। তার কাছে ভিন্নতা বলে কিছু নেই।
: সেটাতো স্বাভাবিক ব্যাপার। আর এইটা বুঝে বলেইতো ছেলেটা তার মেয়ে বন্ধুকে মনের কথাটা বলেনা।কারন ছেলেটাও জানে, মেয়েটা তাকে ঐভাবে কিছু ভাবেনা। ভালো বন্ধুই মনে করে।
এবার শিলা একটু রেগে যায়।
--এক্ষেত্রে অবশ্যই দুর্ভাগ্য সেই মেয়েটির যার এমন ছেলে বন্ধু আছে যে কিনা বন্ধুত্বের অবমাননা করে।কারন যে বন্ধুত্ব ভালোবাসায় পরিনত হয় সেখানে বন্ধুত্বকে অপমান করা হয়,
ছোট করা হয়।
রেগে যায় বনি।
: আর ছেলেটার ক্ষেত্রে কি বলবি? এটাই তো যে ছেলেটা খুব অন্যায় করে ফেলছে।
কিন্তু ভালোবাসার ক্ষেত্রেতো নিয়মের কোন ব্যাপার ছিলোনা। বন্ধুকে বউ করা যাবেনা, এমনতো নয়?
--অবশ্যই ছেলেটা স্বার্থপর।
কারন মেয়েটার মানসিকতার কথা না ভেবেই সে ভালোবাসতে শুরু করে দিয়েছে।সামনে দেখাচ্ছে বন্ধুত্ব আর ভিতরে অন্যকিছু।বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে।সেই সাথে বন্ধুত্বের পবিত্রতা নষ্ট করেছে।
: বন্ধুত্বের আগে থেকেই যদি ছেলেটার মনে তার প্রতি ভালোবাসা থেকে থাকে? তাহলে কি বলবি?
--তাহলে তো সে ছলনা করেছে।মনের ভাব গোপন করে বন্ধু সেজেছে।এক্ষেত্রেও বিশ্বাস ভঙ্গকারী।
হাল ছেড়ে দেওয়া গলায় বনি বলে,
: তাহলেতো সবমিলিয়ে ছেলেটা বিরাট অপরাধী।
শিলার অকাট্য যুক্তি।
--নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারলে সে দোষ অন্য কারও নয়।
: তাহলে ছেলেটার উচিত হচ্ছে মেয়েটাকে প্রপোজ না করা। এবং চুপ করে মেয়েটার জীবন থেকে সরে যাওয়া।
তাইতো?
--সরে যাওয়া না যাওয়া তার ব্যাপার।তবে ভালোবাসাকে বড় করে না দেখে সে চাইলে বন্ধু হয়েও থাকতে পারে আজীবন।আর আমি এই মতবাদেই বিশ্বাসী।
শিলার শেষ কথাটা শুনে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বনি। নাহ্ এই মেয়েটাকে কখনো ভালোবাসা শিখানো সম্ভব না।তাই বলে ওর থেকে দূরে যাওয়াও অসম্ভব। অনেক চেষ্টা করেছে দূরে যাওয়ার। কিন্তু অদৃশ্য বন্ধন বেঁধে রাখে। এই বন্ধনটা বন্ধুত্ব নাকি ভালোবাসা ভেবে পায় না বনি। হঠাৎ শিলার স্পর্শে বাস্তবে ফিরে আসে বনি।
--বনি, বন্ধুত্ব আর ভালোবাসার দ্বন্দ্বে তুই এত চিন্তিত হচ্ছিস কেন?
: কই নাতো। আমার চিন্তা কিসের।
--দেখ, সবসময় এটা মনে রাখবি-
ভালোবাসা একটা বন্ধন যা আমাদের বেঁধে রাখে, থমকে দাঁড়াতে বাধ্য করে। আর বন্ধুত্ব একটা সম্পর্ক যা আমাদের এগিয়ে নিয়ে যায়।
: হুম, হয়তো তোর কথাই ঠিক। আমি ভুল।
--আরে তুই কেন ভুল হতে যাবি। আমরাই ঠিক। আমাদের বন্ধুত্ব একটা উদাহরন। এরপর কাউকে গল্প বলতে ইচ্ছা করলে আমাদের বন্ধুত্বের গল্প বলবি।
এবার বনি হঠাৎ হেসে ফেলে। ওর সব গ্লানি দূর হয়ে যায়। হ্যাঁ, শিলাকে ও ভালোবাসে। তবে সেটা বন্ধুত্বের সীমায় থেকে। ভালোবাসা আলাদা কিছু নয়। বন্ধুত্বেরই অংশ মাত্র। এই ভালোবাসায় কোন লোভ নেই, মোহ নেই। কারন এটা বন্ধুত্ব।
বনি শিলার প্রতি কৃতজ্ঞ বোধ করে। আজ শিলার কথাগুলো না শুনলে ও বন্ধুত্বের পবিত্রতা উপলব্ধি করতে পারত না। ওর মধ্যে একটা মিথ্যা স্বপ্ন আর না পাওয়ার বেদনা থেকে যেত। শিলা ওর ভুল ভাঙিয়ে দিয়েছে।
: শিলা।
--হুম।
--তোকে অনেক ধন্যবাদ।
শিলা হঠাৎ ক্ষেপে যায়। চিৎকার করে বলে।
: শয়তান একটা। কতবার বলছি তোরে। ফ্রেন্ডশীপে নো সরি নো থ্যাংকস।
সেই সাথে বনির পিঠে বেদম কিল ঘুষি পড়তে থাকে। শিলা যেমন মারতে পটু বনি তেমন শিলার মার খেতে পটু। ^_^
এমন হাজারও খুনসুটির মাঝে বেঁচে থাক সবার বন্ধুত্ব। জয় হোক বন্ধুত্বের।
বনি নিরুত্তরে বসে আছে।
আরও একবার প্রশ্নের উত্তর না পেয়ে শিলা অধৈর্য্য হয়ে ওঠে।
ওরা অনেকক্ষন ধরে লেকের পারে বসে আছে। এই ছুটির দিনে কি এমন জরুরি তলব জানতে উদগ্রীব হয়ে আছে শিলা। বনিকে অনেক বার জিঞ্জেস করেছে। কিন্তু উত্তর পায় নি।বনি আজ প্রথম থেকেই বড্ড নিশ্চুপ। অনেকদিনের বন্ধু ওরা দু'জন। কত শত ঝগড়া মান অভিমান ওদের মধ্যে ছিল। কিন্তু বনি কখনো এমন চুপচুপ বসে থাকে নি।প্রতিটা মুহূর্ত অস্থির কাটে শিলার। অবশেষে মুখ খোলে বনি।
: আজ তোকে একটা গল্প বলব, শিলা।
গল্পের কথা শুনে খুশি হয়ে ওঠে শিলা। কিন্তু বাইরে বিরক্তি দেখিয়ে বলে।
--এজন্য এখানে ডাকতে হলো? কলেজেও তো বলতে পারতি।
: না,এখানেই শোন।
--আচ্ছা বল।
: একটা ছেলে একটা মেয়েকে ভালোবাসে।
কিন্তু বলতে চাচ্ছেনা।
কারন, প্রোপোজাল রিজেক্ট করার সম্ভাবনা প্রবল।
এখন ছেলেটা কি করবে?
--যা ইচ্ছা তাই করবে। এটা কোনো গল্প হল! এই ভুং ভাং কথা বলতে ডাকছিস!
: আরে বল না।
--আচ্ছা শোন। সেক্ষেত্রে তারা যদি বন্ধু হয় তবে বন্ধুত্বেই সন্তুষ্ট থাকা উচিত।কারন প্রোপোজাল রিজেক্ট হলে বন্ধুত্ব না থাকার সম্ভাবনা প্রবলের চাইতেও প্রবল।
: কিন্তু মনের মধ্যে এত্তোবড় একটা গোপন কথা চাপা দিয়ে স্বস্তিতে থাকাটা কিভাবে সম্ভব ছেলেটার জন্যে?
--আচ্ছা স্রেফ এই প্রশ্নটার জবাব দে যে একটা ছেলে এবং মেয়ের মধ্যে কি এটাই জরুরি যে তারা বন্ধুত্ব থেকে শুরু করবে আর ভালোবাসায় পৌঁছাতে হবে?
কেন বন্ধুত্ব কি যথেষ্ট নয়!
: ধর, তারা ভালো বন্ধু, আর এদিক দিয়ে ছেলেটার মনে মেয়েটার জন্যে ভালোবাসা।
সেক্ষেত্রে মেয়েটার সাথে যতদিন ছেলেটা থাকবে, এই সময়টাতে তো সে অন্য কাউকে ভালোবাসতেও পারছে না।
বন্ধুত্বেরর সম্পর্কটাওতো পোড়া যন্ত্রনা দিচ্ছে।
--তবে সেই বন্ধুত্ব থেকে মুক্তি নেওয়াই উচিত।
: ছেলেটারতো আরো মেয়ে বন্ধু থাকতে পারে। ঐখানেতো বন্ধুত্বের বেশী চাচ্ছেনা কারো কাছ থেকে। শুধু একজনই ভিন্ন।
--কিন্তু এমনও তো হতে পারে যে সেই মেয়েরও আরও ছেলে বন্ধু আছে। সে ছেলেটাকে আর দশ জনের মতই ভাবে। তার কাছে ভিন্নতা বলে কিছু নেই।
: সেটাতো স্বাভাবিক ব্যাপার। আর এইটা বুঝে বলেইতো ছেলেটা তার মেয়ে বন্ধুকে মনের কথাটা বলেনা।কারন ছেলেটাও জানে, মেয়েটা তাকে ঐভাবে কিছু ভাবেনা। ভালো বন্ধুই মনে করে।
এবার শিলা একটু রেগে যায়।
--এক্ষেত্রে অবশ্যই দুর্ভাগ্য সেই মেয়েটির যার এমন ছেলে বন্ধু আছে যে কিনা বন্ধুত্বের অবমাননা করে।কারন যে বন্ধুত্ব ভালোবাসায় পরিনত হয় সেখানে বন্ধুত্বকে অপমান করা হয়,
ছোট করা হয়।
রেগে যায় বনি।
: আর ছেলেটার ক্ষেত্রে কি বলবি? এটাই তো যে ছেলেটা খুব অন্যায় করে ফেলছে।
কিন্তু ভালোবাসার ক্ষেত্রেতো নিয়মের কোন ব্যাপার ছিলোনা। বন্ধুকে বউ করা যাবেনা, এমনতো নয়?
--অবশ্যই ছেলেটা স্বার্থপর।
কারন মেয়েটার মানসিকতার কথা না ভেবেই সে ভালোবাসতে শুরু করে দিয়েছে।সামনে দেখাচ্ছে বন্ধুত্ব আর ভিতরে অন্যকিছু।বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে।সেই সাথে বন্ধুত্বের পবিত্রতা নষ্ট করেছে।
: বন্ধুত্বের আগে থেকেই যদি ছেলেটার মনে তার প্রতি ভালোবাসা থেকে থাকে? তাহলে কি বলবি?
--তাহলে তো সে ছলনা করেছে।মনের ভাব গোপন করে বন্ধু সেজেছে।এক্ষেত্রেও বিশ্বাস ভঙ্গকারী।
হাল ছেড়ে দেওয়া গলায় বনি বলে,
: তাহলেতো সবমিলিয়ে ছেলেটা বিরাট অপরাধী।
শিলার অকাট্য যুক্তি।
--নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারলে সে দোষ অন্য কারও নয়।
: তাহলে ছেলেটার উচিত হচ্ছে মেয়েটাকে প্রপোজ না করা। এবং চুপ করে মেয়েটার জীবন থেকে সরে যাওয়া।
তাইতো?
--সরে যাওয়া না যাওয়া তার ব্যাপার।তবে ভালোবাসাকে বড় করে না দেখে সে চাইলে বন্ধু হয়েও থাকতে পারে আজীবন।আর আমি এই মতবাদেই বিশ্বাসী।
শিলার শেষ কথাটা শুনে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বনি। নাহ্ এই মেয়েটাকে কখনো ভালোবাসা শিখানো সম্ভব না।তাই বলে ওর থেকে দূরে যাওয়াও অসম্ভব। অনেক চেষ্টা করেছে দূরে যাওয়ার। কিন্তু অদৃশ্য বন্ধন বেঁধে রাখে। এই বন্ধনটা বন্ধুত্ব নাকি ভালোবাসা ভেবে পায় না বনি। হঠাৎ শিলার স্পর্শে বাস্তবে ফিরে আসে বনি।
--বনি, বন্ধুত্ব আর ভালোবাসার দ্বন্দ্বে তুই এত চিন্তিত হচ্ছিস কেন?
: কই নাতো। আমার চিন্তা কিসের।
--দেখ, সবসময় এটা মনে রাখবি-
ভালোবাসা একটা বন্ধন যা আমাদের বেঁধে রাখে, থমকে দাঁড়াতে বাধ্য করে। আর বন্ধুত্ব একটা সম্পর্ক যা আমাদের এগিয়ে নিয়ে যায়।
: হুম, হয়তো তোর কথাই ঠিক। আমি ভুল।
--আরে তুই কেন ভুল হতে যাবি। আমরাই ঠিক। আমাদের বন্ধুত্ব একটা উদাহরন। এরপর কাউকে গল্প বলতে ইচ্ছা করলে আমাদের বন্ধুত্বের গল্প বলবি।
এবার বনি হঠাৎ হেসে ফেলে। ওর সব গ্লানি দূর হয়ে যায়। হ্যাঁ, শিলাকে ও ভালোবাসে। তবে সেটা বন্ধুত্বের সীমায় থেকে। ভালোবাসা আলাদা কিছু নয়। বন্ধুত্বেরই অংশ মাত্র। এই ভালোবাসায় কোন লোভ নেই, মোহ নেই। কারন এটা বন্ধুত্ব।
বনি শিলার প্রতি কৃতজ্ঞ বোধ করে। আজ শিলার কথাগুলো না শুনলে ও বন্ধুত্বের পবিত্রতা উপলব্ধি করতে পারত না। ওর মধ্যে একটা মিথ্যা স্বপ্ন আর না পাওয়ার বেদনা থেকে যেত। শিলা ওর ভুল ভাঙিয়ে দিয়েছে।
: শিলা।
--হুম।
--তোকে অনেক ধন্যবাদ।
শিলা হঠাৎ ক্ষেপে যায়। চিৎকার করে বলে।
: শয়তান একটা। কতবার বলছি তোরে। ফ্রেন্ডশীপে নো সরি নো থ্যাংকস।
সেই সাথে বনির পিঠে বেদম কিল ঘুষি পড়তে থাকে। শিলা যেমন মারতে পটু বনি তেমন শিলার মার খেতে পটু। ^_^
এমন হাজারও খুনসুটির মাঝে বেঁচে থাক সবার বন্ধুত্ব। জয় হোক বন্ধুত্বের।